ডার্কনেট – ইন্টারনেটের অপরাধের সাম্রাজ্য

ডার্কনেট
darknet
Image Source: fbc.ua

ডার্কনেট ওয়েবসাইট গুলো শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক যেমন টর (“অনিয়ন রাউটার”) এবং আইটুপি (“অদৃশ্য ইন্টারনেট প্রজেক্ট”)। টর ব্রাউজার এবং টর-অ্যাক্সেসযোগ্য সাইটগুলো ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যাপক ভাবে ব্যবহারিত হয় এবং যা “.onion” ডোমেইন দ্বারা সনাক্ত করা সম্ভব। টর ব্যবহারকারীদের অজ্ঞাতপরিচয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ প্রদানের উপর গুরুত্ব প্রদান করে এবং আইটুপি অজ্ঞাতপরিচয়ে ডার্কনেটে ওয়েবসাইট হোস্টিং এর উপর গুরুত্ব দেয়। ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের পরিচয় এবং অবস্থান স্তরবিশিষ্ট এনক্রিপশন সিস্টেমের কারণে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। ডার্কনেট এনক্রিপশন প্রযুক্তি তথ্যকে বড় সংখ্যক মাধ্যমিক সার্ভারের মধ্য দিয়ে যায়, যা ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপনের সুরক্ষা প্রদান করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় নিশ্চিতা দেয়। প্রেরিত তথ্য শুধুমাত্র পরিকল্পনাতে একটি পরবর্তী নোডের মাধ্যমে ডিক্রিপ্ট করা যায় যা প্রস্থান নোডের দিকে যায়। একটি জটিল সিস্টেম নোড পুনর্গঠন এবং লেয়ার বাই লেয়ার মেনে চলে তথ্য ডিক্রিপ্ট করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে।উচ্চ স্তরের এনক্রিপশনের কারণে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর আইপি এবং ভূঅবস্থান ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় না এবং ব্যবহারকারীও হোস্টের ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। এইভাবেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যকার যোগাযোগ যেমন কথা বলা, ব্লগিং এবং ফাইল আদান প্রদান অত্যন্ত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করা হয়।

G DATA Infographic Tor V3 EN 930fd1127b
Image Source : G Data

ডার্কনেট বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ যেমন অবৈধ বাণিজ্য, ফোরাম, পেডোপিলিসদের (একজন ব্যক্তি যিনি শিশুদের প্রতি যৌন আকৃষ্ট হন) জন্য মিডিয়া বিনিময় এবং সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেও ব্যবহার করা হয়।

একই সময়ে, কিছু প্রথাগত ওয়েবসাইট টর ব্রাউজারের জন্য বিকল্প প্রবেশপথ তৈরি করে, এর মাধ্যমে ডার্কনেটের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া যায়। যেমন, প্রোপাব্লিকা নামে একটি সংবাদপত্র টর ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের ওয়েবসাইটের একটি নতুন সংস্করণ চালু করে।


ডার্ক ওয়েব গাইডলাইন আর্টিকেলটি পড়তে ক্লিক করুন

ডার্কনেট কন্টেন্ট

বিভাগশতকরা হার
গাম্বলিং০.৪
বন্দুক১.৪
চ্যাট২.২
নতুন (এখনো ইনডেক্স করা হয়নি)২.২
নির্যাতন২.২
বই২.৫
ডিরেক্টরি২.৫
ব্লগ২.৭৫
পর্ণ২.৭৫
সেবা৩.৫
হ্যাকিং৪.২৫
সার্চ৪.২৫
নামহীনতা৪.৫
ফোরাম৪.৭৫
নকল৫.২
ফাঁস৫.২
উইকি৫.২
মেইল৫.৭
বিটকয়েন৬.২
প্রতারণা
মার্কেট
মাদক১৫.৪
তথ্যসুত্র : উইকিপিডিয়া
বিভাগশতকরা হার
সহিংসতা০.৩
অস্ত্র০.৩
সামাজিক১.২
হ্যাকিং১.৪
অবৈধ পর্নোগ্রাফি২.৩
যোগসূত্র২.৩
চরমপন্থা২.৭
অজানা৩.০
অন্যান্য অবৈধ৩.৮
ফাইন্যান্স৬.৩
মাদক৮.১
অন্যান্য১৯.৬
কোনটি না৪৭.৭

তথ্যসুত্র : উইকিপিডিয়া

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেথ ওয়েনের একটি গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, টর নেটওয়ার্কে সবচাইতে বেশি অনুরোধকৃত বিষয় ছিল শিশু পর্নোগ্রাফি, কালো বাজারকে অনুসরন করে, যেখানে অন্যান্য পৃথক সাইটে সর্বোচ্চ ট্রাফিক ছিল বটনেট অপারেশন বিষয়ক (সংযুক্ত মেট্রিক দেখুন)।অনেক গোপন তথ্য ফাঁসকারী সাইট তাদের উপস্থিতি বজায় রাখে পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার ফোরাম।বিটকয়েন, সম্পর্কিত সেবা এবংসেবা সবচেয়ে লাভজনক থাকে। বিতর্কিত বিষয়বস্তুর প্রবণতা মোকাবেলায়, শিল্পীদের যৌথ উদ্যোগে সাইবারটুই একটি অনিয়ন সাইটে বেক সেলের আয়োজন করে।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ওয়েব অনিরাপদ অনিয়ন সাইট আর্টিকেলটি পড়তে ক্লিক করুন