বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে মোটামুটি ৩০ হাজার কোটি (৩০০,০০০,০০০,০০০) নক্ষত্র আছে। সংখ্যাটি এতই বিশাল যে তা কল্পনা করাটাও বেশ জটিল একটি বিষয়। একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটা সহজ করে বুঝে নেওয়া যাক! সাগরসৈকতের বালুকণার সঙ্গে তুলনা করে সংখ্যাটা কিছুটা বুঝতে সুবিধা হবে। ধরা যাক, প্রতিটি বালুর কণা হলো একেকটি নক্ষত্র। এখন যদি কেউ এক মুঠো বালু সৈকত থেকে তুলে নেয়, তাহলে সেখানে কয়েক হাজার থেকে প্রায় লাখখানেক বালুকণা আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। তাহলে এই সংখ্যক নক্ষত্রই আসলে আমরা অন্ধকার রাতে খালি চোখে দেখতে পাই।

কিন্তু এ ছায়াপথের মোট নক্ষত্র সংখ্যার খুবই সামান্য অংশ হবে সেটা। রাস্তায় বালু বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাম্প ট্রাক তো নিশ্চয়ই দেখেছি আমরা। একটা প্রমাণ সাইজের ডাম্প ট্রাকে যে পরিমাণ বালুকণা থাকে, তার পরিমাণ হতে পারে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে থাকা মোট নক্ষত্রের সংখ্যা; মানে ৩০ হাজার কোটি। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, মহাবিশ্বে শুধু মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিই একমাত্র ছায়াপথ নয়। এ রকম আরও লাখো কোটি ছায়াপথ রয়েছে। সেসবের অসংখ্য এখনো আমাদের কাছে অজানা।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ব্যাস
বিজ্ঞানীদের বর্তমান হিসাবে আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ৯,৩০০ কোটি (৯৩ বিলিয়ন) আলোকবর্ষ। তাহলে মহাবিশ্ব কতগুলো নক্ষত্র আছে, সেটা কি বলা যায়? সত্য হোক মিথ্যা হোক, অনুমান করতে তো দোষ নেই। বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০টি নক্ষত্র আছে আমাদের মহাবিশ্বে (২-এর পর ২৩টি শূন্য)। এটা বিশাল একটি সংখ্যা। সংখ্যাটা কত বড়, সেটা অনুমান করতে আবারও বালুকণার কাছে ফিরে যাওয়া যাক। মহাবিশ্বের সব নক্ষত্রকে বালুকণা হিসেবে ধরে নেওয়া যাক। তাহলে আমাদের পৃথিবীর সব সাগরসৈকতে যত বালুকণা, তা মহাবিশ্বে নক্ষত্রের সংখ্যার সমান।