৬৩৮ থেকে ১৯৪৮ সাল পযর্ন্ত প্যালেস্টাইন অঞ্চলটি মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। খ্রিস্টীয় ৫ম শতক পযর্ন্ত স্বল্প সংখ্যাক ইহুদি প্যালেস্টাইনে বসবাস করতো। এই ইহুদিদের ধর্মীয় নেতৃত্ব তখন অন্যদেশের ইহুদিদের হাতে চলে যায়। জীবিকার জন্য প্যালেস্টাইন হতে বিভিন্ন সময়ে ইহুদিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমণ করতো। এক কথায় তাদের জীবন ছিল যাযাবরের ন্যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা নিজেদের জন্য একটি স্থায়ী আবাসভূমির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তা গঠনের প্রচেষ্টা চালায়।
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের পরিচিতি
১৯৪৮ সালে ইহুদিদের ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে হাজার বছর যাবৎ তাদের কোনো স্থায়ী আবাসভূমি ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম হিব্রু সমাজ। প্রথমে অসিপনরা এবং ক্রমান্বয়ে পারসিক, গ্রিক ও রোমানরা প্যালেস্টাইন দখল করে নেয়। কিন্তু এক সময় অত্যাচারিত, নিগৃহীত ইহুদিরা তাদের রাজ্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করলে ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্যালেস্টাইন বিভক্ত করার পক্ষে ভোট পড়ে। আর এই সূত্র থেকে আমেরিকা, রাশিয়াসহ ৩৩টি দেশের পরোক্ষ সমর্থনে আরবীয় ঐক্যজোটকে পরাজিত করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে পশ্চিম তীর, গাজা এলাকা এবং মিসর নিয়ন্ত্রিত সিনাই উপদ্বীপ ও তৎসংলগ্ন এলাকা নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়। Three Big Power-এর প্রত্যক্ষ মদদে এবং ইসরাইলি সৈন্যদের পারদর্শিতা, সর্বোপরি আরব ঐক্যজোটের ব্যর্থতার ফলে আরবরা এই যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে।
প্যালেস্টাইনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্মলগ্নের সাথে সাথে ইভয়ের মধ্যে চিরদ্বন্দ্ব শুরু হয়। ১৯৪৮ সাল থেকে আজ পযর্ন্ত এই সমস্যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এই সমস্যা জন্ম দিয়েছে কয়েকটি যুদ্ধের ও চিরশত্রুতার। সময়ের পরিক্রমায় আরব-ইসরাইল বিরোধ মধ্যপ্রাচ্যেরই সমস্যা হয়ে থাকে নি, পশ্চিমের দেশগুলোও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে।