পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বমতে, আমাদের এ বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই সমান্তরাল কিছু মহাবিশ্ব রয়েছে, যেখানে সময় আমাদের উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ, বিশ্বজগতের কোথাও ঠিক এমন একটি মহাবিশ্ব আছে, যেখানে হয়তো আমাদের মতোই মিল্কিওয়ে ছায়াপথ আছে, আছে নানা নীহারিকা। সেখানেও সৌরজগতের মাঝে পৃথিবী নামে নীলাভ একটি গ্রহ আছে, যে গ্রহে হয়তো এই মুহুর্তে আপনার মতো দেখতে কেউ একজন অসীম আগ্রহ নিয়ে প্যারালাল ইউনিভার্সের তত্ত্ব সম্পর্কে পড়াশোনা করছে। অর্থাৎ, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও একইরকমের কিছু সমান্তরাল মহাবিশ্ব রয়েছে, যারা একে অপরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানে না। একেই সাধারণভাবে প্যারালাল ইউনিভার্স বলা হয়ে থাকে। আর নির্দিষ্ট সংখ্যার প্যারালাল ইউনিভার্সকে মাল্টিভার্স বলা হয়।
প্যারালাল ইউনিভার্স
প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারণা অনুযায়ী, হয়তো এই গ্রহে আপনি একজন ডাক্তার কিন্তু এমনো হতে পারে সমান্তরাল মহাবিশ্বের গ্রহে আপনি একজন ক্রিকেটার। হয়তো সাকিব আল হাসান এই গ্রহে ক্রিকেটার, কিন্তু অন্য গ্রহে তিনি অভিনেতা। অথবা এটাও হতে পারে যে, পৃথিবীতে আপনারা এখন আমার লেখাটি পড়ছেন কিন্তু অন্য গ্রহে আপনারা এটা আগেই দেখে ফেলেছেন।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, এই জগতের মতো অসংখ্য জগৎ আছে এবং আপনার মত আরও অসংখ্য আপনি আছেন যেগুলো সমান্তরালে চলে। কেউ কারও উপর কোন প্রভাব ফেলে না।
আমরা তো সবাই স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।অথচ আমরা যখন ঘুমোই তখন আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারি না। কিন্তু ঘুমোনোর সময় স্বপ্নের মাধ্যমে এমন কিছু ঘটনা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, যেগুলো হয়তো আগে কখনো ঘটেনি বা হয়তো ভবিষ্যতেও কোনোদিন ঘটবে না। তাই স্বপ্ন নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন।অনেক বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা যেসব ঘটনা নিয়ে সাধারণত ভাবনা-চিন্তা করি, সেগুলোই আমাদের স্বপ্নের মাধ্যমে ভেসে ওঠে। আর কিছু বিজ্ঞানীর মতে এটা প্যারালাল ইউনিভার্সের কারণে ঘটে থাকে।