নিযামীর খামসা কি?

নিযামীর খামসা

মুসলিম চিত্রকলার ইতিহাসেকে সমৃদ্ধশালী করার ক্ষেত্রে যেসকল চিত্রকলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নিযামীর খামসা অবলম্বনে চিত্রায়িত পাণ্ডুলিপি তার মধ্যে প্রথম সারির। নিযামীর খামসা চিত্রকলা বিভিন্ন চিত্রশালার বহুবার চিত্রায়িত হয়েছে।

আদি নিযামীর খামসা

মধ্যযুগের একজন বিখ্যাত ফারসী কবি নিযামী আজারবাইজানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজারবাইজানের বিখ্যাত ফারসী মসনবীর কবি। নিযামী পাঁচটি অমর কাব্য গ্রন্থের জন্য ‘খামসার কবি নামে পরিচিত।

তার রচিত গ্রন্থাবলী নিম্নরূপ

  • (১) মাখযান-ই-আসরার (১১৬৫-৬৬)
  • (২) শিরী-খসরু (১১৭৫-৭৬)
  • (৩) লাইলী-মজনু (১১৮৮-৮৯)
  • (৪) সিকান্দরনামা (১১৯১)
  • (৫) হাফত পায়কর (১১৯৮-৯৯)

নিযামীর খামসা মুসলিম চিত্রকরদের গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। মুসলিম চিত্রকলার ইতিহাসে নিযামীর খামসা গ্রন্থ বিভিন্ন চিত্রশালায় বিভিন্নভাবে চিত্রিত হয়েছে। একটি চিত্রশালার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো-

কার্টিয়ার সংগ্রহ (১৪১০-২০)

কার্টিয়ারের ‘নিযামী’ সিরাজ স্কুলে চিত্রায়িত হয়। নিযামীর খামসা’র যে সমস্ত চিত্রাবলী শৈল্পিক গুণে গুণান্বিত তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

  • (ক) ইস্কান্দার ও সাইরেনবৃন্দ
  • (খ) শিরী ও ফরহাদ।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিযামীর চিত্রে ইস্কান্দার ও নিযামীর যে দৃ্শ্য রয়েছে তারই হুবহু প্রতিফলন দেখা যায় কার্টিয়ারের চিত্রাবলীতে।

কার্টিয়ার কিংবা হিরাতে চিত্রিত নিযামীর খামসার উপর ভিত্তি করেই আধুনিক চিত্রকলা ও শিল্পকলার এ অভাবিত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। তাই বলা যায়, আধুনিককালের সাহিত্য ও চিত্রশিল্পের মূল ভিত্তি হিসেবে ‘নিযামীর খামসা’র নিঃসন্দেহে গুরুত্ব রয়েছে।