যে সকল শাসক ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল স্থানের অধিকারী তাদের মধ্যে দ্বিতীয় মাহমুদ অন্যতম। সংস্কারমূলক নীতিমালা, যা পরবর্তীকালে তুরস্কে গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথপ্রবর্তক হিসেবে কাজ করে তার রূপকাল হলেন সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ। তুরস্কের আধুনিকীকরণে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের অবদান অপরিসীম। বলা যায় যে, তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে দ্বিতীয় মাহমুদের নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় দেদীপ্যমান।
দ্বিতীয় মাহমুদের পরিচিতি
দ্বিতীয় মাহমুদ অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান আব্দুল হামিদের পুত্র এবং তৃতীয় সেলিমের চাচাত ভাই। ১৮০৯ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তুরস্কের পিটার নামে খ্যাত সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ বহুমুখী সংস্কারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।দ্বিতীয় মাহমুদ ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, তীক্ষ্ণ প্রতিভা এবং সহত্ত্বম উদ্যমের অধিকারী। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুর্যোগ হতে সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব অক্ষুণ্ন রাখার নিমিত্তে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, গঠনমূলক কার্যাবলি এবং বহুমুখী সংস্কার প্রবর্তনে অবদানের জন্য তাকে যথার্থই ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ‘মহান পিটার’ নামে অভিহিত করা হয়। ঐতিহাসিকগণ দ্বিতীয় মাহমুদ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এভাবে- Salim (iii) was the pioneer of reformation movement and Mahmud (ii) was the director to succeed the movement.
অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ প্রখ্যাত সংস্কারমনা শাসক ছিলেন। অটোমান সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক দুর্যোগকালে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ হিসেবে। সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অটোমান সাম্রাজ্যের সংহতি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালান।