দামেস্ক রাজ্য সম্পর্কে কি জান?

Damascus

বিশ্ব ইতিহাসে সিরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। মানব জাতির ণৈতিক ও আধ্যাত্মিক অগ্রগতি এবং বিশ্বসভ্যতার লীলাভূমি হিসেবে এ অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীন মানবসভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল সিরিয়া। সিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে দামেস্ক উল্লেখযোগ্য। উমাইয়া আমলে ইসলামি সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দামেস্ক।

দামেস্ক রাজ্যের পরিচিতি

ওসমানিয়া শাসনামলে বৃহত্তর সিরিয়ার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দামেস্ক। ওসমানিয়া শাসনের অবসানের পর ফয়সালের নেতৃত্বে যে আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় তার রাজধানীও ছিল দামেস্ক। ম্যান্ডেটরি শাসনামলে দামেস্কের রাজনৈতিক মর্যাদার পরিবর্তন আসে। ঐতিহ্যবাহী দামেস্কের বদলে সিরিয়ায় ফরাসি হাইকমিশনারের কার্যালয় স্থাপিত হয় বৈরুতে। দামেস্ক ও জাবাল-আল-দ্রুজের সমন্বয়ে গঠিত হয় দামেস্ক রাজ্য। কিন্তু ১৯২২ সালে জাবাল আল-দ্রুজকে দামেস্ক থেকে আলাদা করে একটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়। ফলে। সিরিয়ার প্রাণকেন্দ্র দামেস্কের আয়তন আরো হ্রাস পায়। এতে দামেস্কের রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকাংশেই কমে যায়। তবে এর গুরুত্ব একে রাজধানীর মর্যাদা লাভে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে অনেক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। স্থাপত্য শিল্পকলাসহ বিভিন্ন নিদর্শন দামেস্কের ইতিহাসে সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করে।

দামেস্ক অঞ্চলের গুরুত্ব ও প্রভাব সিরিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করে। সিরিয়ার ইতিহাস ও গৌরব বৃদ্ধিতে দামেস্ক রাজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম এতে কোনো সন্দেহ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *