গ্রহদেরকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
1/ভূসদৃশ গ্রহ (Terrestrial Planet):
যে সকল গ্রহ গুলো মোটামুটি পৃথিবী সদৃশ দেখতে, অর্থাৎ যেসকল গ্রহ গুলো পাথর, কঠিন ভূপৃষ্ঠ, ধাতব্য পদার্থ, গলিত ভারী ধাতুর কোর, কিচু সংখ্যক উপগ্রহ, আগ্নেয়গিরির এবং খাদের সমন্বয়ে গঠিত তাদের ভূসদৃশ বা Terrestrial Planets (গ্রহ) বলে।
এই গ্রহ সমূহের তালিকায় আছে, বুধ (Mercury), শুক্র (VENUS), পৃথিবী (EARTH), মঙ্গল (MARS)
2/গ্যাসীয় দানব (JOVIAN giant planets) :
যে সকল গ্রহের আকার দৈত্যাকার, যাদের কোনো কঠিন ভূপৃষ্ঠ নেই এবং যারা গ্যাসীয় গ্রহ, যেসব গ্রহের বায়ুমন্ডল Helium, Hydrogen, Methane, Ammonia, পানি এছাড়া অন্যান্য গ্যাস দ্বারা গঠিত তাদের Jovian planets বা দৈত্যাকার গ্যাসীয় গ্রহ বলে।
এই গ্রহের তালিকায় রয়েছে, বৃহস্পতি(JUPITER), শনি (SATURN), ইউরেনাস (URANUS), নেপচুন (NEPTUNE)

বামন গ্রহ (Dwarf Planet )
চাঁদের থেকেও ছােটো যে-সমস্ত গ্রহ নিজের কক্ষপথে কোনাে মহাজাগতিক বস্তু এলে, তাকে সরিয়ে দিতে পারে না, সেই সমস্ত গ্রহকে বামন গ্রহ বলা হয়। এমন একটি গ্রহীয়-ভরযুক্ত বস্তু যা গ্রহগুলির মতো মহাকাশে সেটির অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না, আবার যা একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহও নয়। অর্থাৎ, বামন গ্রহগুলি সূর্যকে প্রত্যক্ষভাবে প্রদক্ষিণ করে এবং নির্দিষ্ট আকার পাওয়ার জন্য এগুলির ভর যথেষ্টই রয়েছে।
এগুলির অভিকর্ষ একটি উদ্স্থিতি সাম্যাবস্থামূলক আকার (সচরাচর ক্ষেত্রে একটি উপগোলক) বজায় রাখার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু নিজ কক্ষপথ থেকে এটি সমরূপ বস্তুগুলিকে পরিষ্কার করে দিতে পারে না। বামন গ্রহের আদি নিদর্শন হল প্লুটো। গ্রহ-ভূতত্ত্ববিদদের কাছে বামন গ্রহ সম্পর্কে আগ্রের বিষয়টি হল এই যে, সম্ভবত পার্থক্যীকৃত ও ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় বস্তু এই বামন গ্রহগুলিতে গ্রহীয় ভূতত্ত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি পরিস্ফুট হলেও হতে পারে। ২০১৫ সালে প্লুটোয় নিউ হোরাইজনস অভিযানের মাধ্যমে এমন প্রত্যাশারই জন্ম হয়েছে।