অরোরা বা মেরুজ্যোতির রঙ নির্ভর করে কোন গ্যাসীয় পরমাণু ইলেক্ট্রন দ্বারা উদ্দীপ্ত হচ্ছে, এবং এই প্রক্রিয়ায় কত শক্তি বিনিময় হচ্ছে তার উপর। মানুষ ভালোবাসে প্রকৃতি, ভালোবাসে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যকে। যতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে তারমধ্যে অরোরা যেনো এক বিশেষ স্হান দখল করে আছে। আমাদের ভৌগোলিক অবস্হান বিষুবরেখা থেকে ২৬৭০ কি.মি উত্তরে। কিন্তু উত্তর মেরু থেকে ৭,৩৪১ কি.মি দক্ষিনে। তাই বাংলাদেশের অবস্হান উত্তর মেরুতে হলেও উত্তর মেরুর এক অপরুপ সৌন্দর্য্য থেকে আমরা বন্ঞ্চিত। সেটি হচ্ছে অরোরা।

নানা রঙয়ের অরোরা
অরোরা বিভিন্ন রঙয়ের হতে পারে। অরোরার সবচেয়ে পরিচিত রঙ যা অধিকাংশ সময় দেখা যায় তা হলো সবুজাভ-হলুদ, তার জন্য দায়ী অক্সিজেন পরমাণু। অক্সিজেন থেকে অনেকক্ষেত্রে লাল রঙ এর অরোরাও তৈরী হয়। নাইট্রোজেন সাধারণত একটি নীল রঙের আলো দেয়। এছাড়াও অক্সিজেন এবং নাইট্রজেন পরমাণু অতি-বেগুনী রশ্মি নির্গত করে, যা শুধুমাত্র স্যাটালাইটের বিশেষ ক্যামেরা দ্বারা শনাক্ত করা যায়, খালি চোখে দেখা যায় না।
সাধারনত অরোরা ৯০-১৩০ কি.মি উচ্চতায় সৃষ্টি হয়। হলুদাভ সবুজ রঙের অরোরার সৃষ্টি হয় ৭০ মাইল উচ্চতায়, আর লালরঙের অরোরা সৃষ্টি হয় ২০০-৩০০ কি.মি উচ্চতায়। অরোরা কতোটা উজ্জ্বল দেখাবে এটা নির্ভর করে কতোটা চার্জিত সৌরকনা বায়ুমন্ডলে আঘাত করছে যেমনটা আমরা দেখতে পাই, কারেন্ট বেশি মাত্রায় প্রবাহিত হলে বাতির উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, আর কম প্রবাহিত হলে উজ্জ্বলতা কমে।